ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন | NID Card Download
আপনি নতুন ভোটার নিবন্ধন করেছেন? তাহলে ভোটার নিবন্ধন স্লিপ নম্বর বা NID নম্বর দিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID Card Download করতে পারবেন। এখন, কিভাবে আপনার মোবাইলের মাধ্যমেই অনলাইন থেকে NID কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন তার ধাপসমূহ জেনে নিন ।
তাছাড়া আপনার হারিয়ে যাওয়া এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র একই প্রক্রিয়ায় অনলাইন থেকে Bangladesh NID Card Download করতে পারবেন খুবই সহজে। আপনি Bangladeshi National Identity Card যে কোন সময়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
সর্বশেষ আপডেট ও সহযোগিতার জন্য WhatsApp যোগ দিন
WhatsApp Channel | Join WhatsApp |
Facebook Page | Follow on Facebook |
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার প্রক্রিয়াটি নিচে ধাপে ধাপে দেখানো হলো।
শুধুমাত্র আপনার NID কার্ড নম্বর/ভোটার স্লিপ নম্বর সাথে মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। আগে জেনে নিই এর জন্য কী কী প্রয়োজন হবে।
NID Card Download & Smart Card BD
ভোটার আইডি কার্ড বা এন আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে প্রয়োজন হবে ভোটার রেজিস্ট্রেশন ফরম নাম্বার, জন্ম তারিখ, ঠিকানা এবং ফেইস ভেরিফিকেশন। নতুন ভোটাররাই অনলাইনে NID Card ডাউনলোড করতে পারবেন। আর পুরাতন ভোটাররা জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে অনলাইনে রিইস্যুর আবেদন করতে হবে। nid bd সার্ভার থেকে করা যাবে ।
নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখা বা ডাউনলোড করার জন্য আপনার যা প্রয়োজন:
- ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর অথবা NID নম্বর
- জন্ম তারিখ
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা)
- একটি সচল মোবাইল নম্বর (OTP ভেরিফিকেশনের জন্য)
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
এই services.nidw.gov.bd সাইটে ভিজিট করে NID নম্বর অথবা ফরম নম্বর সাথে জন্ম তারিখ দিয়ে সাবমিট করুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য । এরপর ঠিকানা সিলেক্ট করে মোবাইল ও ফেইস ভেরিফিকেশন করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। সবশেষে, NID সাইটে একাউন্টে লগইন করার পরে আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন।
নিচের সহজ ধাপগুলো অনুসরণ করুন এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য:
[সংক্ষেপে বলা হলো, নিচে বিস্তারিতঃ]
- প্রথমে NID Wallet APPS টি ইনস্টল করুন Google Play Store থেকে;
- ভিজিট করুন services.nidw.gov.bd/nid-pub/claim-account লিংকে;
- স্লিপ নম্বর হলে টাইপ করুন NIDFN লিখে Slip No লিখুন যেমনঃ (NIDFN123456789) এবং NID নম্বর হলে NID নাম্বারটি লিখুন। এরপর জন্ম তারিখ লিখতে হবে;
- ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করুন;
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সিলেক্ট করুন;
- মোবাইল নাম্বার টাইপ করে “বার্তা পাঠান” বাটনে ক্লিক করুন এবং OTP বসিয়ে দিন তারপর OK করুন;
- ফেইস ভেরিফিকেশন QR কোড Scan করুন;
- NID একাউন্টের Password set করুন ফেইস ভেরিফিকেশন করার পরে;
- লগইন করে নিন তারপর, ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করে NID কার্ড ডাউনলোড করুন ।
অনলাইন থেকে NID Card Download করবেন কিভাবে তার প্রক্রিয়া ছবিতে দেখানো হলো।
ধাপ ১- ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া:
NID Smart Card নাম্বার বা স্লিপ নম্বর দিয়ে NID Account Registration করতে হবে। যদি আপনি ২০১৯ সালের পর ভোটার হয়ে থাকেন হয়তো আপনার Voter Registration Slip আছে। আপনি স্লিপ নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র উইং (NID Wing) এর রেজিস্ট্রেশন করেই Voter ID Card Download করতে হবে এবং তা ব্যবহার করতে পারবেন প্রিন্ট ও লেমিনেটিং করে।
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর থাকবে না আপনি নতুন ভোটার হয়ে থাকলে। সেক্ষেত্রে আপনি ভোটার নিবন্ধনের পর যে টোকেন নম্বর বা ফরম নম্বর পেয়েছেন তা ব্যবহার করে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। এজন্য দেখুন- কিভাবে টোকেন দিয়ে আইডি কার্ড বের করবেন তার নিয়ম ।
এখন, আপনাকে Sign Up বা একাউন্ট রেজিষ্টার করতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে । নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র একাউন্ট লিংকে যেতে হবে। নিচের মত একটি পেইজ আসবে,
ছবি দেখে প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন ।
স্লিপ নম্বর হলে NIDFN লিখে Slip No লিখুন, যেমনঃ (NIDFN123456789) এবং NID নম্বর হলে NID নাম্বারটি লিখুন। আপনার জন্ম তারিখ ও আপনার স্ক্রীনে দেখানো Code Type করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
এবার আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা, উপজেলা) বাছাই করুন। উপরের ছবিটি দেখুন। মনে রাখবেন বার বার ভুল ঠিকানা দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের চেষ্টা করলে আপনার NID Account Locked হয়ে যাবে। তাই, ২ বারের বেশি চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকুন ঠিকানা ভুল দেখালে।
উপরের সব তথ্য সঠিক থাকলে আপনার মোবাইল নম্বর দেখানো হবে। মোবাইল নম্বরটি আপনার কাছে থাকলে তা দিয়ে Verification সম্পন্ন করুন। রেজিস্ট্রেশনের সময় ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার না থাকলে অন্য কোন ফোন নম্বর দিয়েও ভেরিফিকেশন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে, আপনার নতুন মোবাইল (মোবাইল নম্বর পরিবর্তন) নম্বরটি লিখে বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করতে হবে।
NID Card Download with Token
এবার আপনার নতুন ম�����বাইল নম্বরটি লিখে বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করতে হবে। মোবাইলে একটি ৬ ডিজিটের OTP ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। তাই মোবাইল নম্বরটি সচল এবং আপনার হাতে থাকতে হবে।
আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। কোডটি উপরের ছবিতে দেখানো ঘরে লিখুন এবং বহাল বাটনে ক্লিক করুন। কখনো কখনো কোড আসতে দেরি হয়, অপেক্ষা করুন। যদি না আসে তবে কয়েক মিনিট পরে পুনরায় পাঠান।
এবার Tap To Open NID WALLET এ ক্লিক করতে হবে । নিচের ছবির মত ট্যাপ করে QR কোডটি কপি করুন ।
ধাপ ২- NID Wallet এ্যাপ ইনস্টল করুন
প্রথমে ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য (Face Verification) নির্বাচন কমিশনের মোবাইল এ্যাপ NID Wallet অপর মোবাইলে Install করতে হবে। Google Play Store এ যান এবং সার্চ করুন NID Wallet লিখে। তারপর অ্যাপস ইনস্টল করুন ।
এবার NID Wallet App টি ওপেন করুন আপনার মোবাইলে ইনস্টল করা। ভাষা সিলেক্ট করে Agree and Continue বাটনে ট্যাপ করে QR কোডটি স্ক্যান করুন।
ধাপ ৩ঃ ফেইস ভেরিফিকেশন করুন
এবার একটি QR কোড দেখানো হবে আপনার Face Verification করার জন্য ।কোড টি স্ক্যান করে আপনার ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হবে NID Wallet অ্যাপ দিয়ে ।
দেখানো QR কোডটি স্ক্যান করার পর আপনার Face Verification করার অপশন আসবে। এখানে দেখানো হবে কিভাবে প্রথমে আপনার ছবি তুলবেন সোজাসুজি, তারপর আপনার মোবাইলের ক্যামেরার দিকে চোখ রেখে মাথা একটু বামে ও ডানে ঘুরাবেন।
ফেইস স্ক্যান চালু করার জন্য Start Face Scan বাটনে ক্লিক করুন। এ্যাপ এ দেখানো ভিডিওর মত, আপনার মুখ বরাবর Selfie Camera ধরুন ও সোজাসুজি তাকান। ঠিক থাকলে ছবিতে OK বা টিক মার্ক নোটিফিকেশন দেখাবে।
তারপর, আপনার মোবাইলের ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আপনার মাথা ডানে একবার ও বামে একবার ঘোরাবেন। OK না দেখালে, আবার চেষ্টা করুন।
ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনার সামনে নিচের মত একটি পেইজ আসবে।
ধাপ ৪ঃ পাসওয়ার্ড সেট করুন।
ভবিষ্যতে ফেইস ভেরিফিকেশনের ঝামেলা ছাড়া NID একাউন্টে লগ ইন করতে হলে, আপনাকে সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করে একটি পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।
পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য আমার পরামর্শ থাকবে। ভবিষ্যতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন বা পুনরায় ডাউনলোড করার জন্য আপনার অনেক সুবিধা হবে।
ধাপ ৪ঃ NID কার্ড ডাউনলোড করুন
NID Website Account এ পাসওয়ার্ড সেট করার পর পরই আপনার NID Card Website এ লগ ইন হয়ে যাবে। আপনি আপনার প্রোফাইল ও ছবি দেখতে পাবেন।
ছবির দেখানো অপশন থেকে সবার নিচে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে আপনার নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র/ এন আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিন।
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড লিংক: https://services.nidw.gov.bd/
সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড, NID Card Download
আইডি কার্ড সংশোধন হওয়ার পর সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা যাবে। তবে যারা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে সংশোধিত NID বা জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যাবে না। ঠিকানা সংশোধন করা হলে, জাতীয় পরিচয় পত্র রিইস্যুর আবেদন করতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন হওয়ার পর ”আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদনটি অনুমোদিত হয়েছে” এ ধরণের একটি মেসেজ পাবেন। এরপর উপরের দেখানো ধাপ অনুসরণ করে সংশোধিত এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করুন।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংক্রান্ত প্রশ্নসমূহ?
১। প্রশ্নঃ আমি সময়মত ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন বা আবেদন করতে পারিনি । এখন কি করা যাবে?
উত্তরঃ আপনি রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন যে কোন সময়ে ।
২। প্রশ্নঃ আমি বিদেশে অবস্থানের কারণে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি, এখন কিভাবে করতে পারবো?
উত্তরঃ আপনি রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন যে কোন সময়ে ।
৩। প্রশ্নঃ আমি ২০০৭ থেকে ২০১০ সালে মধ্যে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করতে পারি নি। এখন কিভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি?
উত্তরঃ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে অনলাইনে রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হওয়ার পর আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। এরপর, আপনার এনআইডি কার্ড এর অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিন ।
৪। প্রশ্নঃ ভোটার তালিকার নামের সাথে নিজের বিভিন্ন খেতাব, পদবী, পেশা, ধর্মীয় উপাধি ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা?
উত্তরঃ ভোটার তালিকার ডাটাবেজে শুধুমাত্র আপনার নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন অর্জিত পদবী বা উপাধি তাতে সংযুক্ত করার অবকাশ নাই।
৫। প্রশ্নঃ কোথা হতে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে?
উত্তরঃ যেকোন জায়গা থেকে অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।
৬। প্রশ্নঃ আমি কিছুদিনের মধ্যে দেশের বাইরে চলে যাব। আমার NID কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?
উত্তরঃ অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
৭। প্রশ্নঃ কেউ যদি এনআইডি কার্ডে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল তথ্য দিলে কি হবে?
উত্তরঃ জেল/ জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
৮। এনআইডি নম্বর কারো ১৩ সংখ্যা, আবার কারো ১৭ সংখ্যা হয় কেন?
উত্তরঃ ২০০৭ সাল পর্যন্ত ১৩ সংখ্যা ছিলো তারপর ২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুণঃ তৈরি হচ্ছে সে সকল NID কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে।
৯। প্রশ্নঃ বিভিন্ন জমির দলিলে আমার বিভিন্ন নাম/বয়স আছে। এখন কোনটা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে?
উত্তরঃ এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদে উল্লেখিত বয়স ও নাম। ভবিষ্যতে ৫ম/৮ম সমাপনী পরীক্ষার সনদ ও গ্রহণযোগ্য হবে। লেখাপড়া না জানা থাকলে জন্ম সনদ,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ও আবেদন করা যাবে।
১০। প্রশ্নঃ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে কি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি সনাক্ত করা সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, সনাক্ত করা সম্ভব।
১১। প্রশ্নঃ একজন ব্যক্তির পক্ষে কি একাধিক বয়সে ও নামে একাধিক কার্ড পাওয়া সম্ভব?
উত্তরঃ না, একজন ব্যক্তি একটি মাত্র কার্ড করতে পারবেন। তথ্য গোপন করে একাধিক স্থানে ভোটার হলে তা কেন্দ্রীয় সার্ভারে আঙুলের ছাপ দ্বারা তা ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী মামলা হবে।
১২। প্রশ্নঃ নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজ পত্রাদি প্রয়োজন হয় ?
উত্তরঃ এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), জন্ম নিবন্ধন সনদ, ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, নাগরিক সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন (TIN) নম্বর (যদি থাকে)।
১৩। প্রশ্নঃ আমি খুব দরিদ্র ও বয়স ১৮ বছরের কম। ১৮ বছরের উপরে বয়স দেখিয়ে একটি আইডি কার্ড পেলে গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে বা অন্য কোথাও চাকুরী পেতে পারি। মানবিক কারণে এই পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায় কি?
উত্তরঃ না, আপনার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে মানবিক বিবেচনা করার কোন সুযোগ নেই।
১৪। প্রশ্নঃ আমি ভুলে করে বা অনিচ্ছায় দু’বার রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছি এখন কি করবো?
উত্তরঃ এখনি বা যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে আবেদন করুন । Finger Print Matching কার্যক্রম চলছে বর্তমানে । অচিরেই সকল Duplicate Entry সনাক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গন্য হবে।
১৫। প্রশ্নঃ আইডি কার্ড আছে কিন্তু ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। এরূপ সমস্যা সমাধানের উপায় কি?
উত্তরঃ আর দেরি না করে অবিলম্বে এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৬। প্রশ্নঃ একজন ব্যক্তির NID কার্ড অন্যজন সংগ্রহ করতে পারবে কিনা?
উত্তরঃ অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
১৭। প্রশ্নঃ আপনারা বিভিন্ন ফর্মের কথা বলেছেন? এগুলো কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ এখন সব ধরনের আবেদন অনলাইনে করা যাচ্ছে এবং আবেদনের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফর্ম অনলাইনে থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন।
১৮। প্রশ্নঃ NID সংক্রান্ত সমস্ত ফর্মের জন্য কোন মূল্য পরিশোধ করতে হয় কি না?
উত্তরঃ না।
১৯। কিভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করব?
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য ভিজিট করুন services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইট। এখানে রেজিস্টার করুন অপশন থেকে আপনার ভোটার নিবন্ধন স্লিপ নম্বর বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর দিয়ে ফেইস ভেরিফিকেশন করার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
একটি বিষয় সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত যে, সহজে এনআইডি কার্ড বিতরণের জন্যই অনলাইনে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা অনেকে এটাকে ভোটার আইডি বলে থাকি। আসলে এটি ভোটার আইডি কার্ড নয়, ভোট দিতে এটি কাজে আসে না।
এটি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা National ID Card। তাই এটিকে অবহেলা না করে যত্নসহকারে ব্যবহার করুন। জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুলভ্রান্তি এবং ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকুন।
ক্যাটাগরি | জাতীয় পরিচয় পত্র |
নতুন ভোটার হতে চান | NID Application |
NID কার্ড চেক | NID Card Check |
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন | NID Card Correction |
হোমপেইজ | Govt BD |
Leave a Comment