সিকিম, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি মনোরম রাজ্য, পর্যটকদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এখানকার অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং বন্ধুসুলভ পরিবেশ পর্যটকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক, যেখানে ভ্রমণকারীরা পেয়ে থাকেন নানান আনন্দের অভিজ্ঞতা।
সিকিমে ভ্রমণের খরচ
সিকিম ভ্রমণের খরচ বেশিরভাগ সময় নির্ভর করে আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং সময়ের উপর। তবে সাধারণত, একটি মাঝারি বাজেটে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকার মধ্যে একটি সুন্দর ভ্রমণ করা সম্ভব।
- যাতায়াত খরচ: ঢাকাতে থেকে সিকিমে যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা পর্যন্ত বাসে যেতে হবে, যা বেশ সাশ্রয়ী। এরপর, ভারতের ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছাতে হবে। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত শেয়ারড গাড়িতে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে প্রায় ৪০০-৫০০ টাকা।
- খাবার: সিকিমে খাবারের খরচ তুলনামূলকভাবে কম। স্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ টাকার মধ্যেই ভালো খাবার পাওয়া সম্ভব।
- আবাসন: গ্যাংটকে বিভিন্ন মানের হোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে, যা প্রতিরাত ১,০০০-২,৫০০ টাকার মধ্যে বুক করা যায়।
সিকিমে ভ্রমণের সেরা সময়
সিকিম ভ্রমণের সবচেয়ে উত্তম সময় হলো ফেব্রুয়ারি থেকে মে এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। এসময়ে আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং বিভিন্ন ফুল ফুটে, যা সিকিমের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে। তবে যেকোনো সময় সিকিম ভ্রমণ করা যেতে পারে, যদিও শীতে এবং বর্ষায় কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।
সিকিমের দর্শনীয় স্থানসমূহ
সিকিম ভ্রমণে বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানে ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে। এখানে কিছু প্রধান স্থান উল্লেখ করা হলো:
- কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত: ভারতের সর্বোচ্চ এবং বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শিখর, যা সিকিমের গর্ব।
- তিব্বতি মনাস্ট্রি: তিব্বতি সংস্কৃতি ও ধর্মীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রুমটেক, সুক লা খাং এবং পেমাযাংসে এই তিনটি প্রধান মনাস্ট্রি পরিদর্শন করা যেতে পারে।
- সমগো লেক (চাঙ্কু লেক): গ্যাংটক থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই লেকটি বরফে ঢাকা পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত এবং মনোরম দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত।
- নাথুলা পাস: চাঙ্কু লেকের কাছেই অবস্থিত এবং এটি প্রাচীন সিল্ক রুটের অংশ ছিল। এর উচ্চতা ১৪,১৫০ ফুট এবং এটি ভারত-চীন সীমান্তের কাছে।
- ইয়ুম্থাং ভ্যালি (ফুলের উপত্যকা): বসন্তকালে রডদেন্দ্রন ফুলের সমারোহ দেখতে এখানে ভ্রমণ করুন। এই উপত্যকাটি ৪০টিরও বেশি প্রজাতির ফুলের জন্য বিখ্যাত।
- গ্যাংটক: সিকিমের রাজধানী এবং তিব্বতি বৌদ্ধ কেন্দ্র। এখানে তাশি ভিউ পয়েন্ট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং আশপাশের পাহাড় দেখা যায়।
সিকিমে থাকার জায়গা
সিকিমে বিভিন্ন মানের থাকার জায়গা পাওয়া যায়, যার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হলো:
- বাজেট হোটেল: গ্যাংটক এবং অন্যান্য প্রধান শহরগুলোতে প্রচুর বাজেট হোটেল আছে যেখানে ১,০০০-২,০০০ টাকার মধ্যে ভালো সুবিধা পাওয়া যায়।
- মিড-রেঞ্জ হোটেল: কিছু মিড-রেঞ্জ হোটেল যেমন দ্য এলগিন নর-কিল, যেখানে প্রতি রাতের খরচ ৩,০০০-৫,০০০ টাকার মধ্যে।
- লাক্সারি রিসর্ট: দ্য রোজেট রিসর্ট বা মায়ফেয়ার স্পা রিসর্ট এবং ক্যাসিনো যেখানে উচ্চমানের সেবা পাওয়া যায় এবং প্রতিরাতের খরচ ৮,০০০-১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
নাথাং ভ্যালি
নাথাং ভ্যালি, যা “জুলি” নামেও পরিচিত, এটি সিকিমের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং শীতকালে এখানে ভারী তুষারপাত হয়। গ্যাংটক থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্থানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্থানীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধন পাওয়া যায়।
রুমটেক মনাস্ট্রি
রুমটেক মনাস্ট্রি, সিকিমের অন্যতম প্রধান বৌদ্ধ মঠ, যা গ্যাংটক থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি বৌদ্ধ ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এবং তিব্বতি বৌদ্ধমন্দিরগুলোর মধ্যে একটি বিশিষ্ট স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত।
জিরো পয়েন্ট
জিরো পয়েন্ট, যা ইয়ুমথাং উপত্যকার শেষ প্রান্তে অবস্থিত। এখানে যেতে হলে বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন হয় এবং শীতকালে এখানে তুষারপাতের জন্য বিখ্যাত।
কালিম্পং
কালিম্পং একটি সুন্দর পাহাড়ি শহর, যা গ্যাংটক থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন দুর্গা মন্দির, মর্গান হাউস এবং কালিম্পং সায়েন্স সেন্টার।
কেনচেওং ফ্যাল
এই ঝরনা সিকিমের অন্যতম একটি প্রাকৃতিক বিস্ময়। এটি গ্যাংটক থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং তিস্তা নদীর উপরে প্রবাহিত হয়।
লাচুং
উত্তর সিকিমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর একটি গ্রাম হলো লাচুং, যা তিব্বতি সীমান্তের কাছেই অবস্থিত। এই গ্রামটি একটি নদী দিয়ে বিভক্ত এবং গ্যাংটক থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। লাচুং যাওয়ার পথে, তিস্তা নদীর স্ফটিক স্বচ্ছ নীল জল এবং আশেপাশের দুটি অসাধারণ ঝরনা পর্যটকদের মনকে প্রশান্তি এনে দেয়। লাচুংয়ের অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং ইয়ামথাং ভ্যালি যাওয়ার পথ মনকে ভরে দেয় অনাবিল আনন্দে।
সিকিমের সুইজারল্যান্ড হিসেবে পরিচিত কাটাও মিডিল পয়েন্ট থেকে সাদা বরফে ঢাকা পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়। এখানে আরও আছে ভিম নালা ফল এবং খান্দা ওয়াটার ফলস। এছাড়া, ট্র্যাকিং প্রেমীদের জন্য রয়েছে স্নো পয়েন্ট।
সাঙ্গু লেক
সিকিমের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত সাঙ্গু লেক, যা গ্যাংটক থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। এই লেকটি ৩৭৫৩ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এবং সিকিমের অন্যতম একটি পর্যটন আকর্ষণ। গ্যাংটক থেকে সাঙ্গু লেকে যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত সুন্দর, যেখানে বরফে ঢাকা পাহাড় এবং ঝরনার দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এখানে বরফে খেলা করার প্রকৃত মজা পাওয়া যায়।
ইয়ুকসোম
পশ্চিম সিকিমের একটি ঐতিহ্যবাহী শহর হল ইয়ুকসোম। এখানে কাঞ্জনজঙ্খা ঝরনা, ছোট ছোট লেক এবং বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। এছাড়াও, ইয়ুকসোম হাইকিং প্রেমীদের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান।
ইয়ামথাং
ইয়ামথাং ভ্যালি, যা ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারস নামেও পরিচিত, বিভিন্ন রঙের ফুলে ঢাকা একটি সুন্দর উপত্যকা। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে জুনের মধ্য সময় এই ভ্যালি বিভিন্ন রঙের ফুলে ভরে থাকে, যা পর্যটকদের মনোরম করে তোলে।
সিকিম ভ্রমণের খরচ
সিকিমে ছয় দিন এবং সাত রাত থাকার জন্য প্রায় ১৭,০০০ থেকে ২২,০০০ টাকা খরচ হতে পারে। তবে, যদি গ্রুপে ভ্রমণ করা হয় এবং হোটেল রুম শেয়ার করা হয়, তাহলে খরচ অনেক কমে আসবে।
ভ্রমণ উদ্যোগী সংস্থার প্যাকেজে ভ্রমণ করতে চাইলে জনপ্রতি খরচ পড়বে ২২,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা, যেখানে ৫ দিনের জন্য নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে শুরু করে পুরো টুর শেষ করে আবার আপনাকে সেখানেই পৌঁছে দেবে।
থাকার ব্যবস্থা
সিকিমে থাকার জন্য গ্যাংটক, পেলিং, লাচুং এবং এম জি মার্গে অসংখ্য হোটেল, মোটেল এবং হোম স্টে রয়েছে। হোটেল অনুযায়ী দুই বেডের ভাড়া ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। তবে একটু খোঁজাখুঁজি করলে ৫০০-১,০০০ টাকার মধ্যে দুজনের রাত কাটানোর মতো রুম পাওয়া সম্ভব।
খাবার ও রেস্টুরেন্ট
সিকিমের খাবার সাধারণত অর্গ্যানিক এবং তাজা। গ্যাংটকের এম জি মার্কেট এবং লাল বাজার রোডে সস্তায় মজার স্ট্রিট ফুড খাওয়া যায়। এছাড়া, সেখানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে থুকপা, মম, গুনড্রুক স্যুপ, শা ফালেয়, তিব্বতিয়ান ব্রেড এবং লাচ্ছির মতো খাবার পাওয়া যায়।
ভ্রমণ টিপস
- পরিকল্পনা: ভ্রমণের আগে একটি সুসংগঠিত পরিকল্পনা তৈরি করুন যাতে কোন স্থানগুলোতে ভ্রমণ করবেন তা নির্ধারণ করা থাকে।
- জলবায়ু: সিকিমের আবহাওয়া কখনও কখনও অনিশ্চিত হতে পারে, তাই পর্যাপ্ত উষ্ণ পোশাক এবং বৃষ্টির মৌসুমে ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখুন।
- স্বাস্থ্য: উচ্চতার কারণে অনেকের শ্বাসকষ্ট হতে পারে, তাই প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন।
- স্থানীয় সংস্কৃতি: স্থানীয় সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি সম্মান করুন। স্থানীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন এবং তাদের অনুমতি ছাড়া ছবি তুলবেন না।
সতর্কতা
- শীতের পোশাক: সিকিম ভ্রমণে অবশ্যই শীতের ভারি কাপড়, জ্যাকেট, ছাতা, হাত ও পা মোজা, মাফলার, কান টুপি এবং বরফে হাঁটার জন্য গাম বুট সঙ্গে নিতে হবে।
- অনুমতি: গ্যাংটক থেকে বিভিন্ন টুরিস্ট স্পটে যেতে প্রতিবার অনুমতি নিতে হয়। গাড়ির ড্রাইভার এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন, তবে পাসপোর্ট, ভিসা, আইএলপি’র অনেকগুলো কপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি সঙ্গে রাখা জরুরি।
এইসব পরামর্শ মেনে সিকিম ভ্রমণ করলে, আপনি একটি আনন্দময় এবং স্মরণীয় অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
সিকিম ভ্রমণ: জনপ্রিয় প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: সিকিম ভ্রমণে যাওয়ার সেরা সময় কোনটি?
উত্তর: সিকিম ভ্রমণের সবচেয়ে সেরা সময় হলো ফেব্রুয়ারি থেকে মে এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। এ সময়ে আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং ফুল ফোটে, যা সিকিমের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। শীতকালে এবং বর্ষাকালে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে, কারণ তখন বরফ ও বৃষ্টির কারণে চলাফেরা কঠিন হয়ে যায়।
প্রশ্ন ২: সিকিমে কীভাবে যাতায়াত করবেন?
উত্তর: সিকিমে যাতায়াতের জন্য প্রথমে ঢাকায় থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা পর্যন্ত বাসে যেতে হবে। এরপর, ভারতের ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছাতে হবে। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত শেয়ারড গাড়িতে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে প্রায় ৪০০-৫০০ টাকা।
প্রশ্ন ৩: সিকিমে থাকার জন্য ভালো হোটেলগুলো কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর: গ্যাংটক, পেলিং, লাচুং এবং এম জি মার্গে থাকার জন্য অসংখ্য হোটেল, মোটেল এবং হোম স্টে রয়েছে। হোটেল অনুযায়ী দুই বেডের ভাড়া ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। তবে একটু খোঁজখবর করলে ৫০০-১,০০০ টাকার মধ্যে দুজনের রাত কাটানোর মতো রুম পাওয়া সম্ভব।
প্রশ্ন ৪: সিকিমে কোন কোন স্থানে ঘুরে দেখার মত রয়েছে?
উত্তর: সিকিমে কিছু প্রধান দর্শনীয় স্থান হলো:
- কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত
- তিব্বতি মনাস্ট্রি (রুমটেক, সুক লা খাং, পেমাযাংসে)
- সমগো লেক (চাঙ্কু লেক)
- নাথুলা পাস
- ইয়ুম্থাং ভ্যালি (ফুলের উপত্যকা)
- গ্যাংটক শহর
প্রশ্ন ৫: সিকিমে কী কী খাবার পাওয়া যায়?
উত্তর: সিকিমের খাবার সাধারণত অর্গ্যানিক এবং তাজা। গ্যাংটকের এম জি মার্কেট এবং লাল বাজার রোডে সস্তায় মজার স্ট্রিট ফুড খাওয়া যায়। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় থুকপা, মম, গুনড্রুক স্যুপ, শা ফালেয়, তিব্বতিয়ান ব্রেড এবং লাচ্ছির মতো খাবার পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ৬: সিকিম ভ্রমণে খরচ কেমন হয়?
উত্তর: সিকিমে ছয় দিন এবং সাত রাত থাকার জন্য প্রায় ১৭,০০০ থেকে ২২,০০০ টাকা খরচ হতে পারে। তবে, যদি গ্রুপে ভ্রমণ করা হয় এবং হোটেল রুম শেয়ার করা হয়, তাহলে খরচ অনেক কমে আসবে। ভ্রমণ উদ্যোগী সংস্থার প্যাকেজে ভ্রমণ করতে চাইলে জনপ্রতি খরচ পড়বে ২২,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা।