অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম | NID Card Correction 2024
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাচ্ছেন? তাহলে জেনে নিন কি কি লাগবে, কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের (NID Card Correction) জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন বিস্তারিত।
নতুন ভোটার হয়েছেন, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে দেখতে পেলেন নিজের নাম, মায়ের নাম বা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে ভুল রয়েছে। চিন্তার কোন কারণ নেই। ঘরে বসেই মাত্র ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই অনলাইনে আবেদন করে NID BD থেকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে পারবেন।
আসুন প্রথমে জেনে নিই অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগবে। এরপর দেখবো অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম। www kb gov bd
সর্বশেষ আপডেট ও সহযোগিতার জন্য WhatsApp যোগ দিন
WhatsApp Channel | Join WhatsApp |
Facebook Page | Follow on Facebook |
ভোটার (NID Card Correction) আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে
সাধারনত ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে NID Login করার প্রয়োজন হয়, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কপি, এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি, বিয়ের কাবিন নামা, পিতা-মাতার আইডি কার্ড ও সন্তানদের আইডি কার্ড। এগুলোর যে কোন ২টি ডকুমেন্ট দিয়ে এন আই ডি কার্ড সংশোধন করা যায়।
মূলত তথ্য সংশোধনের ধরণ অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আলাদা হয়ে থাকে। নিচে সংশোধনের ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো ছকে দেয়া হলো:
সংশোধনের বিষয় | প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট |
নাম সংশোধন | এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ; অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ; পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স; এমপিও সিট/সার্ভিস বহি (MPO Sheet); বিবাহের কাবিন নামা; কমপক্ষে ২ জন সন্তানের এনআইডি কার্ডের কপি লাগবে যেখানে পিতা/মাতার নাম শুদ্ধ ভাবে আছে; |
জন্ম তারিখ সংশোধন | এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ; অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ; পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স; এমপিও সিট/সার্ভিস বহি (MPO Sheet); বিবাহের কাবিন নামা; কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন; |
পিতা-মাতার নাম সংশোধন | এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ; অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ; পাসপোর্ট/ড্রাইভ�����ং লাইসেন্স; পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র; পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন; চাকুরীজীবিদের ক্ষেত্রে অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন; ভাই-বোনের জাতীয় পরিচয়পত্র; ওয়ারিশন সনদ/প্রত্যয়নপত্র (পিতার সকল সন্তানদের জন্মের ক্রম অনুযায়ী নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর Nid Bangladesh উল্লেখিত); |
NID সংশোধন করতে কি কি লাগে তার বিস্তারিত জানতে দেখুন- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে। তাছাড়া, নির্বাচন কমিশন এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়া আরও সহজ করার জন্য একটি Standard Operation Procedures (SOP) খসড়া চূড়ান্ত করেছে।
ভোটার আইডি কার্ড বা NID CARD সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে প্রথমত ২৩০ টাকা ফি লাগে। এছাড়া এনআইডি কার্ডের অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ১১৫ টাকা এবং উভয় ধরণের তথ্য সংশোধনের জন্য ৩৪৫ টাকা লাগে। বিকাশ, রকেটের বা বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র ফি পরিশোধ করা যায়।
আসুন এবার জেনে নিই, কিভাবে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের আবেদন করবেন।
ভোটার (NID Card Correction) আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রথমে services.nidw.gov.bd ভিজিট করুন। যদি পূর্বে আপনি রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন, তবে শুধু লগিন করলেই হয়ে যাবে। এখানে NID Number, জন্মতারিখ ও ঠিকানা দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। লগইন করে প্রোফাইল থেকে এডিট লিংক ক্লিক করে তথ্য গুলো সংশোধন করুন। এরপর সংশোধন ফি ও প্রমাণপত্র আপলোড করে আবেদন জমা দিন। আবেদন অনুমোদিত হলে তথ্য সংশোধন হবে।
এনআইডি কার্ড সংশোধনের প্রক্রিয়াটি নিচে বিস্তারিত দেখানো হলো। প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন ।
ধাপ ১ – প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করুন বা ছবি তুলে নিন
ভোটার আইডি সংশোধন আবেদন (nid correction bd) করার আগে আপনার উচিত প্রয়োজনীয় প্রমাণগুলো স্ক্যান করে নির্দিষ্ট সাইজের মধ্যে Crop করে নেয়া। স্ক্যান করতে না পারলে, কোন টেবিলের উপর রেখে উপর থেকে ছবি তুলে নিন।
- ডকুমেন্ট এর সাইজ সবোচ্চ ১ মেগাবাইট হতে পারবে। ডকুমেন্ট হিসাবে png, jpg এবং pdf গ্রহণযোগ্য। সর্বোচ্চ ১৫টি ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে পারবেন।
ধাপ ২ – এনআইডি ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করুন
যদি জাতীয় পরিচয়পত্রের সাইটে রেজিস্ট্রেশন করা থাকে সরাসরি NID নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। রেজিস্ট্রেশন করা না থাকলে আগে রেজিস্টার অপশন থেকে রেজিস্ট্রেশন করুন।
দেখুন কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন। জাতীয় পরিচয় পত্রের একাউন্টে লগইন করার পর প্রোফাইল অপশনে যান। এখানে ৩ ধরণের তথ্য রয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা।
ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা সংশোধন করার জন্য, উপরের ডান পাশ থেকে এডিট বাটনে ক্লিক করবেন।
ধাপ ৩ – তথ্য সংশোধন করুন
এখানে ৩ ধরণের তথ্য রয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা। নিচের মত তথ্যগুলো সংশোধন করার অপশন পাবেন।
আপনি যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান, (aed to taka) তার বাম পাশের টিক অপশনে ক্লিক করুন । এভাবে আপনার ভুল তথ্যগুলো প্রমাণপত্রের সাথে মিল রেখে সঠিকভাবে টাইপ করুন। বানান গুলো সাবধানে লিখুন ভুল যেন না হয় । তারপর, পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার সংশোধন করা তথ্যের পূর্বরুপ ও সংশোধিত রুপ দেখতে পাবেন। সব ঠিক থাকলে আবারও পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
এবার,আপনাকে আবেদনের ধরন ও বিতরণের ধরন সিলেক্ট করা লাগবে, ৩ ধরণের তথ্য রয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা। যে যে ধরন সংশোধন করেছেন সেটা সিলেক্ট করুন। এবং তার উপর নির্ভর করে আপনাকে ফি পরিশোধ করা লাগবে। পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি কত আপনাকে দেখানো হবে। এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি প্রদান করতে হবে।
ধাপ ৪ – জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি প্রদান করুন
এখন, আপনাকে আপনার NID ভুল তথ্যের ধরণ অনুযায়ী নিধারিত ফি প্রদান করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের এতক্ষণ যা যা করেছেন তা ক্লোজ করবেন না। ফি প্রদান করেই আপনাকে আবার আবেদনের বাকি কাজ শেষ করতে হবে। আরও পড়ুন- এনআইডি সংশোধন করতে কত টাকা লাগে। এটা বিকাশ দিয়ে পরিশোধ করা দেখানো হয়েছে ।
বিকাশের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
বিকাশের মাধ্যমে NID Correction Fee দিতে বিকাশ এ্যাপ থেকে আপনার বিকাশ একাউন্টে লগইন করুন। এবং নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
- পে বিল অপশনে যান
- সরকারি ফি অপশনে ক্লিক করুন এবং NID Service অপশনটি বাছাই করুন
ছবি দেখে প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন ।
পরবর্তী ছবি দেখে প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন ।
- আপনার আবেদনের ধরণ বাছাই করুন
- আপনার NID নম্বরটি ইংরেজিতে লিখুন
- আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বর দিয়ে ফি পরিশোধ করুন।
ফি পরিশোধ করা হলে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে আবার ফিরে আসুন এবং আবারও পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫ – ডকুমেন্ট গুলো আপলোড ও আবেদন সাবমিট করা
আপনাকে ১ম ধাপেই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো স্ক্যান বা ছবি তুলে একটি ফোল্ডারে রাখার জন্য বলেছিলাম। এখন প্রয়োজন মোতাবেক আপনার ডকুমেন্ট গুলো আপলোড করে আবেদন সাবমিট করতে পারবেন। এখন, প্রমাণপত্রসমূহ আপলোড করে আবেদনটি সাবমিট করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি প্রদান করার পরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
- ডকুমেন্ট এর সাইজ সবোচ্চ ১ মেগাবাইট হতে পারবে। ডকুমেন্ট হিসাবে png, jpg এবং pdf গ্রহণযোগ্য। সর্বোচ্চ ১৫টি ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে পারবেন।
আপনি আইডি কার্ডের যে তথ্য পরিবর্তনের জন্য আবেদন জমা দিতে চলেছেন, তা প্রমান করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র আপলোড করতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের জন্য সব থেকে কার্যকর প্রমান হলো শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। তার পাশাপাশি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ আপলোড করতে হবে। পরবর্তী ছবি দেখে প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন । পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
তথ্যসমূহ সঠিক থাকলে আপনার আবেদনটি নিশ্চিত করুন ও জমা দিন। এখানে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৬ – ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ডাউনলোড
আবেদন সাবমিট করার পর, ড্যাশবোর্ডে ফিরে আসুন। উপরের দিকে আবেদনটি ডাউনলোড করার একটি লিংক দেখতে পাবেন। লিংকে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন।
ডাউনলোড করার পর এই রকম ফর্ম পাবেন । যা নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন। আপনার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে সবকিছু জমা দিতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর লগইন করে প্রোফাইল অপশনে যান। এডিট লিংকে ক্লিক করে সঠিক জন্ম তারিখ লিখে ফি পরিশোধ করুন। সবশেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে আবেদন সাবমিট করুন।
জাতীয় পরিচয়পত্রে বা ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ সংশোধন করতে প্রয়োজন হয় এসএসসি বা সমমানের একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন। একাডেমিক সার্টিফিকেট না থাকলে সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি এবং বিয়ের কাবিন নামা দেয়া যায়।
আরও পড়ুন- জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কত দিন লাগে
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ডের নিজ নাম সংশোধন করতে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ লাগবে যেমনঃ জেএসসি / এসএসসি / এইচএসসি বা সমমানের এবং জন্ম নিবন্ধন লাগে। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকলে সেক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি, বিয়ের কাবিন ও কমপক্ষে ২ সন্তানের আইডি কার্ডের কপি এগুলো থেকে যে কোন একটি দেয়া যায়।
অর্থাৎ আপনার নাম বা জন্ম তারিখের প্রমাণস্বরূপ কমপক্ষে ২টি ডকুমেন্ট সাবমিট করলে ভাল হবে । যেকোন ১ টি ডকুমেন্ট দিয়েও আবেদন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আবেদন অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে ।
তাই উপরে বর্ণিত ডকুমেন্ট গুলোর যে কোন ২টি ডকুমেন্ট দিলে ভাল হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্রের অন্যান্য তথ্য সংশোধন
জাতীয় পরিচয়পত্রের বা NID কার্ডের অন্যান্য তথ্যের মধ্যে রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, ঠিকানা, পেশা, মোবাইল নম্বর, ধর্ম ইত্যাদি। অনলাইনে আবেদন করার পর সঠিক প্রমাণ আপলোড করে এসব তথ্য সংশোধন করা যায় । অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ভ্যাট সহ ১১৫ টাকা ফি প্রযোজ্য হবে।
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের সম্পুর্ণ ঠিকানা পরিবর্তন করা যায়না। শুধুমাত্র বাসার নম্বর ও গ্রামের নাম সংশোধন করা যায়। সম্পূর্ণ ঠিকানা সংশোধনের জন্য একটি ঠিকানা পরিবর্তন ফরম পূরণ করে আপনার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন ফি ভ্যাট সহ ২৩০ টাকা এবং অন্যান্য তথ্য সংশোধন ফি ১১৫ টাকা। উভয় তথ্য সংশোধন ফি ভ্যাটসহ ৩৪৫ টাকা, রিইস্যু আবেদন ফি ৩৪৫ টাকা এবং জরুরী রিইস্যু ফি ৫৭৫ টাকা।
সংশোধনের ধরণ | ফি’র পরিমাণ |
---|---|
এনআইডির তথ্য সংশোধন – NID Info Correction | ২৩০ টাকা |
অন্যান্য তথ্য সংশোধন – Other Info Correction | ১১৫ টাকা |
উভয় তথ্য সংশোধন – Both Info Correction | ৩৪৫ টাকা |
রিইস্যু – Duplicate Regular | ৩৪৫ টাকা |
রিইস্যু জরুরী – Duplicate Urgent | ৫৭৫ টাকা |
বিস্তারিত পড়ুন – ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১। প্রশ্নঃ কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/থানা/উপজেলা/জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে ।
২। প্রশ্নঃ স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফি কত?
স্মার্ট কার্ড সংশোধন আবেদন ফি ভ্যাটসহ সর্বনিন্ম ২৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৪৫ টাকা পর্যন্ত । সংশোধন ফি নির্ভর করে স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন আবেদনের ক্যাটাগরির উপর।
৩। প্রশ্নঃ ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে?
উত্তরঃ জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
৪। প্রশ্নঃ আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।
৫। প্রশ্নঃ বিয়ের করার পর স্বামীর নাম সংযোজনের উপায় কি?
উত্তরঃ নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করুন, তারপর অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন কমিশন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।
৬। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন আইডি কার্ড থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ দিতে হবে?
উত্তরঃ বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করুন, তারপর অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে আবেদন করতে হবে।
৭। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি?
উত্তরঃ প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামা সংযুক্ত করে সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
৮। প্রশ্নঃ আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি?
উত্তরঃ অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।
৯। প্রশ্নঃ আমার NID কার্ড এর ছবি অস্পষ্ট, এখন ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা প্রয়োজন?
উত্তরঃ এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে নিজে এসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে।
১০। প্রশ্নঃ কিভাবে স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে পারি?
উত্তরঃ নতুন স্বাক্ষর এর নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে।
১১। প্রশ্নঃ নিজের ডাক নাম / অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সেটা সংশোধনের করার জন্য আবেদনের সাথে কি কি কাগজপত্র দাখিল করতে হবে?
উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।
১২। প্রশ্নঃ পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি কাগজপত্র দাখিল করতে হবে?
উত্তরঃ পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে।
১৩। প্রশ্নঃ ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন/ সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের জনিত কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলা�����ায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন কমিশন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফর্মে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।
১৪। প্রশ্নঃ আমি বৃদ্ধ, অসচ্ছল ও অত্যন্ত দরিদ্র হওয়ার ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতা খুব প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছি না, এখন করণীয় কী । লোকে বলে আইডি কার্ড –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ আইডি কার্ড এ প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয় । উল্লেখ্য, এই যে প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
১৫। প্রশ্নঃ একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ সকলের কার্ডের কপি এবং সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন কমিশন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।
১৬। প্রশ্নঃ আমি পাশ না করেও অজ্ঞতাবশতঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?
উত্তরঃ আপনি এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।
১৭। প্রশ্নঃ আইডি কার্ড এ অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে। এ ভুল কিভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে।
১৮। প্রশ্নঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভূক্ত বা সংশোধনের জন্য কি করতে হয়?
উত্তরঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করার জন্য রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনস্টিক বা হাসপাতালের রিপোর্ট দাখিল করতে হয়।
১৯। প্রশ্নঃ বয়স/ জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কি?
উত্তরঃ এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।
২০। প্রশ্নঃ নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্নামা, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।
২১। প্রশ্নঃ আমার জন্ম তারিখ যথাযথভাবে লেখা হয়নি, আমার কাছে কোন তথ্য ও প্রামাণিক কোন দলিল নেই, এখন কিভাবে সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে আবেদন করতে হবে। তারা যদি চায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ।
২২। প্রশ্নঃ একটি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?
উত্তরঃ এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে, ঠিকানা, স্বামীর নাম, স্ত্রীর নাম এবং রক্তের গ্রুপ একাধিকবার সংশোধন করা যায়। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোন সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।
২৩। প্রশ্নঃ অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে?
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ৭/১৫ দিন লাগে। তবে ক্ষেত্রে বিশেষে এটি সর্বোচ্চ ৪৫ দিন লাগতে পারে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী NID Card সংশোধন আবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন বা বাতিল করা হয়।
২৪। প্রশ্নঃ এনআইডি কার্ডে স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কীভাবে করতে পারি?
এনআইডি কার্ডের স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে উপজেলা নির্বাচন অফিসে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফরম ২ পূরণ করে আবেদন করতে হবে। সংশোধন ফি বাবদ ভ্যাটসহ ২৩০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
২৫। প্রশ্নঃ কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?
উত্তরঃ সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।
ক্যাটাগরি | জাতীয় পরিচয় পত্র |
নতুন ভোটার হতে চান | NID Application |
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড | NID Card Download |
NID কার্ড চেক | NID Card Check |
হোমপেইজ | Govt BD |
Leave a Comment